রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এ কারণে ওই অঞ্চলগুলোর প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘গ্লোবাল কনভেনশন অন অ্যাডাপটেশন’র সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জিসিএ সম্মেলনের প্রারম্ভিক পর্ব শুরু হয়। মূল পর্ব বুধবার। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য রাখেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়ার ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে পৃথকভাবে একান্ত বৈঠক করবেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলডা হেইনি এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন।
বুধবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপশনে (জিসিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকায় আসেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন। একই দিনে ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের প্রেসিডেন্ট হিলদা হেইনিও।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকার নানা পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, জলাবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ নামে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।