শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন
                                           

আরও ১৩ মামলা বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ১৭৭ জন

নাশকতার অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের ৯ জেলায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে আরও ১৩টি মামলা হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও ৯৭ জনকে। একই সময়ে ঢাকার বাইরে ১৮ জেলায় দলটির ৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এক দিনে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে দলটির ১৭৭ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং ১৮টি জেলার প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে মামলা ও গ্রেপ্তারের এই হিসাব পাওয়া গেছে। ঢাকার বাইরে যে ১৮ জেলায় নতুন করে মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটেছে, সেগুলো হলো সুনামগঞ্জ, মেহেরপুর, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, পাবনা, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, বগুড়া ও নোয়াখালী।

ডিএমপি, আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র এবং প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনে সারা দেশে সব মিলিয়ে বিএনপির ৮ হাজার ১৩৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে যে ১৩টি মামলা হয়েছে, তাতে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের আরও প্রায় পাঁচ শ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানায় নাশকতার একটি মামলায় ভাষানটেক থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আর গত সোমবার গভীর রাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে আটক করা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামানকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে গতকাল তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রিমান্ড শুনানিতে শামসুজ্জামান আদালতকে বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ও ভালো নির্বাচনের জন্য তাঁরা সংগ্রাম করছেন। আর প্রধান বিচারপতির বাসভবন আইনের শাসনের প্রতীক। তিনি বলেন, সেদিন (২৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসমাবেশে দলের ভাইস চেয়ারম্যানদের কেউ বক্তব্য দেননি। মহাসচিবের বক্তব্যের আগেই জনসভা পণ্ড হয়ে যায়। ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

অন্যদিকে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, ২৮ অক্টোবর শামসুজ্জামান উষ্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। বিএনপির নেতা–কর্মীরাই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছেন। রাস্তায়–ফুটপাতে আগুন দিয়েছেন, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।

এদিকে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।



ফেইসবুক পেইজ