ইসরায়েলি হামলার জেরে গাজা উপত্যকায় ১ লাখ ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।
ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, ইসরায়েলি হামলার মুখে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা রাতারাতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএর ৬৪টি আশ্রয়শিবিরে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৪ হাজার।
গাজা উপত্যকার বেসামরিক এলাকাসহ বিভিন্ন অংশে ভারী গোলাবর্ষণ ও বিমান হামলা অব্যাহত থাকায় ইউএনআরডব্লিউএর শিবিরে আশ্রয়প্রার্থী ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার একটি স্কুলে হামলা হয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএর এই আশ্রয়শিবিরে ২২৫ জনের বেশি মানুষ ছিল।
হামলায় আশ্রয়শিবিরটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, বেসামরিক লোকজনের সুরক্ষা সব সময় নিশ্চিত করতে হবে, এমনকি যুদ্ধের সময়ও। আশ্রয়শিবির, স্কুলসহ কোনো বেসামরিক অবকাঠামোকে কখনোই হামলার নিশানা করা উচিত নয়।
প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসতি গাজা উপত্যকা। বিশ্বের সবচেয়ে জনঘনত্বের একটি এলাকা গাজা।
হামাসের হামলার জবাবে গাজা উপত্যকাকে ‘জনমানবশূন্য দ্বীপে’ পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যত দ্রুত সম্ভব গাজার বাসিন্দাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বলেছেন তিনি।
গত শনিবার সকালে ইসরায়েলে বড় ধরনের হামলা চালায় গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস। সেদিনই গাজায় পাল্টা বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাস ও ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ১০০ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত মানুষের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়েছে। আর ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষ আহত হয়েছেন হাজারো মানুষ।