বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের কক্সবাজারকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন নগর হিসেবে গড়তে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। এ জন্য ১৭৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে সমীক্ষা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) জেলার মহাপরিকল্পনা (প্রথম সংশোধিত) বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। এ জন্য কউকের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টকে (সিএসসি) নিযুক্ত করা হয়। ২০২৫ সালের জুন মাসে এ সমীক্ষার কাজ শেষ হবে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কউকের মাল্টিপারপাস হলরুমে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্টের (সিএসসি) মধ্যে এ-সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মাদ নুরুল আবছার, কউক সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, লে. কর্নেল মো. খিজির খান, উপনগর-পরিকল্পনাবিদ মো. তানভীর হাসান রেজাউল, সিএসসির ডিরেক্টর (প্ল্যানিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ-আল-মামুন, সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল সাদেক মাহমুদ।
কউক সূত্র জানায়, ১৭৪ দশমিক ৭২ কোটি টাকা ব্যয়ের মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সমীক্ষা প্রকল্প ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন করে।
প্রকল্পের আওতায় সমুদ্রসৈকতের ৬৯০ দশমিক ৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকার ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) এবং জেলার আটটি উপজেলার (চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ) ২ হাজার ৪৯১ দশমিক ৮৩ বর্গকিলোমিটার এলাকার জন্য কাঠামোগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।
প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জানিয়ে কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মাদ নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন ছাড়া এখন শহরে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে পারছেন না কেউ। কউক প্রতিষ্ঠার ছয় বছরে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৮টি ইমারতের নকশা অনুমোদন এবং ১ হাজার ৫৯৭টি ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে ভূমির যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে জানিয়ে কউক চেয়ারম্যান বলেন, এতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ এবং টেকসই যাতায়াত, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পাহাড়, বন, জলাশয় ও সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষণ, সমুদ্রসৈকতের নির্দিষ্ট সীমানা সংরক্ষণ, অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ, জল ও স্থলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত হবে।