শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন
                                           

গ্যাস–সংকটে চট্টগ্রামে ভারী শিল্পে উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তা

চট্টগ্রাম বন্দর ঘিরে ভারী শিল্প ইস্পাত, সিমেন্ট ও কাচ কারখানা গড়ে তুলেছিলেন উদ্যোক্তারা। কাঁচামাল সহজে আনা–নেওয়ার জন্য এখানে কারখানা গড়ে তোলা হলেও এখন উদ্যোক্তারা বেকায়দায় পড়েছেন গ্যাস নিয়ে। গ্যাস–সংকটে কারখানা যেমন মাঝেমধ্যে বন্ধ রাখতে হচ্ছে, তেমনি সক্ষমতার ৫০ ভাগ চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।

উদ্যোক্তারা জানান, গত নভেম্বরে চট্টগ্রামে গ্যাস–সংকট শুরু হয়। এর পর থেকে উৎপাদন ব্যাহত হয়ে আসছিল। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে কারিগরি ত্রুটির কারণে এলএনজি টার্মিনালে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন উদ্যোক্তারা। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টার্মিনালের ত্রুটি সারিয়ে সরবরাহ শুরু হলেও সংকট কাটেনি। গ্যাসের চাপ কম থাকায় ভারী শিল্পে উৎপাদন ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে।

গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল) জানিয়েছে, চট্টগ্রামের ছোট–বড় ১ হাজার ২০০ কারখানায় তারা গ্যাস সরবরাহ দিচ্ছে। চট্টগ্রামে মোট গ্যাসের চাহিদা ৩০ থেকে ৩২ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্পকারখানায় গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৮ থেকে ১০ কোটি ঘনফুট। চাহিদা অনুযায়ী দুই–তৃতীয়াংশ পরিমাণ গ্যাসও পাওয়া যাচ্ছে না। কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান বলেন, একই লাইন থেকে আবাসিক, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে গ্যাস সরবরাহ করা হয়। শিল্পে কী পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, সেটি আলাদা করার সুযোগ নেই। তবে ধারণা করা যায়, শিল্পে অন্তত পাঁচ কোটি ঘনফুট গ্যাস যাচ্ছে।



ফেইসবুক পেইজ