তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জেলায় বিএনপির ৮০ জন নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলায় ১০ জন করে নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৬ জেলায় ১ থেকে ৯ জন করে নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তার নেতাদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনও রয়েছেন।
এ ছাড়া ঢাকার বাইরে আট জেলায় নতুন করে ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নোয়াখালীতে ২টি, ফেনীতে ৩টি, বগুড়ায় ২টি, পিরোজপুর, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জে ১টি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপির ৪১৫ জন নেতা–কর্মীকে। এর মধ্যে ফেনীর একটি মামলায় জেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিব উল্যাকে আসামি করা হয়েছে।
বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি–অপারেশন) আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িত এবং পরোয়ানাভুক্ত ১৪০০–১৫০০ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এখনো গ্রেপ্তারের সংখ্যা প্রায় সে রকমই রয়েছে। মামলার আসামি ছাড়া বিএনপির কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের একের পর এক গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের ১১ জন নেতা ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের কেউ রিমান্ডে, কেউ কারাগারে রয়েছেন। এ ছাড়া জেলা ও মহানগর পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, দিনে–রাতে যেকোনো সময় নেতা-কর্মীদের ধরতে পুলিশ বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। নেতাদের বাসায় না পেয়ে তাঁদের পিতা, ভাই কিংবা অন্য সদস্যদের অন্যায়ভাবে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। আটকের পর তাঁদের থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।