প্রবাসী আয় আনতে সব ব্যাংকই ডলারের দাম আড়াই শতাংশ বেশি দিতে পারবে। ফলে প্রবাসী আয়ে মার্কিন ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১১২ টাকা ৭৫ পয়সা। কাল রোববার থেকে প্রবাসী আয়ে ডলারের নতুন দাম কার্যকর হবে। যদিও রোববার আন্তর্জাতিক বাজার বন্ধ থাকায় এদিন সাধারণত কোনো প্রবাসী আয় আসে না।
গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে ডলারের এই নতুন দর নির্ধারিত হয়।
তবে রপ্তানি আয়ে ডলারের দর আগের মতো ১১০ টাকা বহাল রাখা হয়েছে। আর আমদানিতেও ডলারের দাম আগের মতো ১১০ টাকা ৫০ পয়সা রয়েছে।
দেশে গত মাসে (সেপ্টেম্বর) বৈধ পথে ১৩৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় আসে, যা ৪১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের এপ্রিলে এত কম প্রবাসী আয় এসেছিল। ওই মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১০৯ কোটি ডলার। ডলার-সংকটের এ সময়ে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় ডলার-সংকট আরও প্রকট হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম বেশি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যদিও কিছু ব্যাংক দুই সপ্তাহ ধরে বেশি দামে প্রবাসী আয় কিনছে।
গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকে বেসরকারি খাতের ১৫টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে সভা করেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
সভায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে রিজার্ভ আরও কমে যেতে পারে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম বাজারভিত্তিক করা হবে। এমন সিদ্ধান্তের পেছনে তিনটি কারণ উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও রাজস্ব হিসাব—এই তিন গুরুত্বপূর্ণ সূচক এখন ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে।
তবে বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনার ক্ষেত্রে কোনো আপত্তি করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী আয়ে আড়াই শতাংশ বেশি দাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।