বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন
                                           

প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে আবার বাড়ানো হলো ডলারের দর

ডলার-সংকট মোকাবিলায় প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। আজ বুধবার থেকে এই দুই ক্ষেত্রে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো।

সেই সঙ্গে আন্তব্যাংক ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৪ টাকা, এত দিন যা ১১০ টাকায় কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করা হতো।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা।

বৈঠকে বলা হয়, যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে মাসে দুই কোটি ডলারের বেশি প্রবাসী আয় আসবে, বাধ্যতামূলকভাবে তারা অন্তত ১০ শতাংশ আন্তব্যাংক বিক্রি করবে। আন্তব্যাংকে ডলারের সর্বোচ্চ দর হবে ১১৪ টাকা। মূলত ডলার–সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক আগের দেনা পরিশোধ করতে পারছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল আন্তব্যাংকে ডলার লেনদেন হয়েছে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা। আর কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে নগদ ১ ডলারের দাম ছিল ১১৯ টাকা থেকে ১২০ টাকা।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট শুরু হয়। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় বাফেদা ও এবিবিকে। এর পর থেকেই সংগঠন দুটি মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। যদিও বাস্তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তই কার্যকর করছে এই দুই সংগঠন।

দেশে ডলারের দাম ঠিক রাখতে দর নির্ধারণের পাশাপাশি রিজার্ভ থেকে প্রচুর ডলার বিক্রি করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরে এরই মধ্যে সাড়ে ৪ বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলারের মতো বিক্রি করা হয়েছে। এর ফলে ধারাবাহিকভাবে কমছে রিজার্ভ।

২০২১ সালের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সেই রিজার্ভ (২৬ অক্টোবর) কমে হয়েছে ২৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক হিসাবপদ্ধতি ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম–৬) অনুযায়ী, বর্তমানে রিজার্ভ ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার।



ফেইসবুক পেইজ