এই খবরটিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা জানালেও নতুন মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে কিংবা এই মন্ত্রিসভায় কারা থাকছেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানান নি।
তবে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বরাত দিয়ে এই খবরে বলা হচ্ছে, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন তা প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন। এতে নির্বাচিত এমপিদের বাইরে অনির্বাচিত বা টেকনোক্র্যাটরাও স্থান পেতে পারেন। তবে মন্ত্রিসভায় মোট সদস্যের এক-দশমাংশের বেশি টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার সুযোগ নেই।
বর্তমান মন্ত্রিসভার তিন প্রতিমন্ত্রী এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি। আবার নৌকার টিকিট নিয়েও জয় পাননি আরো তিন প্রতিমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তাদের দপ্তরে নতুন মুখ দেখার সম্ভাবনা আছে। আবার গত মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সময়ে আলোচিত-সমালোচিত কয়েক সদস্য এবারের কেবিনেটে ঠাঁই নাও পেতে পারেন।
সমকাল পত্রিকার শেষের পাতার শিরোনাম, আঁতাতেও ফল আসেনি, জনপ্রিয়তায় ছিল ঘাটতি। এতে বলা হয়েছে, বহুল আলোচিত ‘কিংস পার্টি’র ভরাডুবি ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ‘তৃণমূল বিএনপি’ ও ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম’-এর কেউই জিততে পারেননি। এমনকি হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত ছয় নেতা সবাই জামানত খুইয়েছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা না থাকায় কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি তারা।
এমনকি সরকারি দলের সঙ্গে ‘আঁতাত’ করেও কাজ হয়নি। নির্বাচনের মাঠ থেকে শুধু খালি হাতে নয়; লজ্জাজনকভাবে ফিরতে হয়েছে তাদের।
খবরটিতে বলা হয়, সারাদেশে দুই দলের ১৮৭ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজনের জামানত রক্ষা পেয়েছে। তাও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কক্সবাজার-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। এখানে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী তাঁকে বেছে নেয়।