এক দফা দাবিতে বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় (সাংগঠনিক বিভাগ) রোডমার্চের আগে রাজবাড়ীতে উদ্বোধনী সমাবেশ শুরু হয়েছে। রাজবাড়ী সদর উপজেলার শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় আজ সকাল ১০টার দিকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মঞ্চে আরও আছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু, ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকার নেতা–কর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। রোডমার্চ উপলক্ষে নেতা–কর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। সমাবেশের আশপাশে বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, এই সরকার দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। এর ফলে দেশে আজ আর্থিক সংকটের মুখে পড়েছে। ডলারের সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা এলসি করতে পারছেন না। এই সরকার থাকলে দেশে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে। এই সরকারকে বিতাড়িত করতে হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সমাবেশটি শেষে রোডমার্চ শুরু হবে। এরপর রাজবাড়ীর বসন্তপুর বাজারে আরেকটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়মের অনুসারীরা অংশগ্রহণ করবেন। বসন্তপুর পথসভা শেষ হওয়ার পর রোডমার্চ ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এরপর ফরিদপুরের রাজবাড়ী রাস্তা মোড়ে আরেকটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে কয়েকটি পথ সভা শেষে সর্বশেষ শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে গিয়ে রোডমার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় এলাকায় রোডমার্চ উপলক্ষে পথসভা আয়োজনের জন্য গত রাত থেকে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আজ সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে ঢাকা-ফরিদপুর মহাসড়কের একপ্রান্তে ৩০ ফুট লম্বা ও ১২ ফুট আড়াআড়ি একটি মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চে ব্যানার সাঁটানো হয়েছে।
মঞ্চের কাজ তদারক করছিলেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা। তিনি বলেন, কাজ প্রায় শেষের দিকে। রাতে বৃষ্টি হওয়ায় মঞ্চের সামনে পানি জমেছে। সেখানে বালু ফেলা হবে।
সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলনের অংশ হিসেবে বর্তমানে রাজধানী ঢাকা ঘিরে সমাবেশ, পেশাজীবী সম্মেলন ও অঞ্চলভিত্তিক রোডমার্চ কর্মসূচি করছে বিএনপি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া ১৫ দিনের এ কর্মসূচি ৫ অক্টোবর কুমিল্লা-ফেনী-মিরসরাই হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত রোডমার্চের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে সমাবেশ থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।