নারায়ণগঞ্জের বন্দরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদককে মারধর ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার ময়মনসিংহপট্টি এলাকায় বন্দর মন্দিরের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ বিএনপি নেতাদের বস্ত্র বিতরণের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাঁর ওপর এই হামলা হয়েছে।
আহত শিবু চন্দ্র দাস (৫২) বন্দর র্যালি লেজার্স সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শিবু দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘শনিবার বিকেল পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপি নেতারা বন্দর র্যালি লেজার্স সর্বজনীন দুর্গাপূজা মন্দিরের মণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় দুস্থদের মধ্যে তাঁরা বস্ত্র বিতরণ করেন। মন্দিরে বস্ত্র বিতরণের খবর পেয়ে আগে থেকেই আওয়ামী লীগ কর্মী খান মাসুদ তাঁর লোকজন দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। নিরাপত্তা চেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। বস্ত্র বিতরণ শেষে খান মাসুদের লোকজন এসে আমাকে বেদম পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার বাঁ পায়ে ও হাতের আঙুলে কোপ লেগেছে।’ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রাত সোয়া ১১টার দিকে তিনি বাসায় ফেরেন।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁরা ওই মন্দিরে পাঁচ শতাধিক লোকের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে খান মাসুদের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে খান মাসুদ বলেন, ‘ও (শিবু দাস) বিএনপি করে। বিএনপির নেতাদের কাছে হাইলাইট হতে এবং আওয়ামী লীগের বদনাম করতেই এই নাটক সাজিয়েছে। আমার লোকজন তাঁকে মারধর করেননি। তাঁরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে এই নাটক সাজিয়েছেন।’
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, তাঁরা ওই মন্দিরে পাঁচ শতাধিক লোকের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শিবু দাস। এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে খান মাসুদের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে খান মাসুদ বলেন, ‘ও (শিবু দাস) বিএনপি করে। বিএনপির নেতাদের কাছে হাইলাইট হতে এবং আওয়ামী লীগের বদনাম করতেই এই নাটক সাজিয়েছে। আমার লোকজন তাঁকে মারধর করেননি। তাঁরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে এই নাটক সাজিয়েছেন।’
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের জানান, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পূজামণ্ডপে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেননি।