রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
                                           

নির্বাচন নিয়ে ‘বিএনপির ৭ জানুয়ারি ছক’

ভোটের দিন বিএনপির প্রস্তুতি নিয়ে দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘বিএনপির ৭ জানুয়ারি ছক’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আসন্ন নির্বাচন ভোটারবিহীন প্রমাণ করতে নির্বাচনের দিনও কর্মসূচি দেয়ার কথা জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো।

ভোটের দিন হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছেন দলগুলোর শীর্ষ নেতারা।

তবে দলটির নেতারা জানিয়েছেন, তারা ভোটের দিন তারা এমন কোনো কর্মসূচি দেবেন না, যাতে আওয়ামী লীগের নিজ দলের প্রার্থীরা নিজেরা নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে কোনো ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় বিরোধীদের ওপর চাপাতে পারে।

নির্বাচনের দিনই আন্দোলন শেষ হয়ে যাবে না। আন্দোলন চলমান থাকবে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নির্বাচনের দিন জনগণ যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায়, ভোট বর্জন করে, সেটা ফলপ্রসূ করার জন্য বিএনপি ও সমমনা দলগুলো লিফলেট বিতরণ করছে। জনমত গঠন করছে।

এ ছাড়া যেহেতু নির্বাচনের দিন কৌশলগত কারণে সভা-সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া যাবে না, তাই হরতাল, অবরোধের মতো কর্মসূচির কথা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় পার্টির অবস্থানকে ঘিরে সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘‘ভোটের টাকা না পেয়ে সরে পড়ছেন জাপার প্রার্থীরা’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া ২৬ আসনের বাইরে থাকা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠ থেকে একে একে সরে যাচ্ছেন ।

খবরে বলা হয়েছে, প্রার্থীদের ভাষ্য, দলের নেতাকর্মীরা নির্বাচন বর্জনের পক্ষে মত দিলেও ‘বিশেষ জায়গা থেকে তহবিল’ পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জাপা।

‘বি ক্যাটেগরি’ আসনের প্রত্যেক প্রার্থীকে ৩০ লাখ এবং ‘সি ক্যাটেগরি’ আসনের প্রার্থীদের ২০ লাখ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু শীর্ষ নেতারা ওই টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন।

জাপা সূত্রের খবর দিয়ে এই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সেই টাকা পাওয়া যায়নি। সে কারণেই প্রার্থীদের সহায়তা করা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার পর্যন্ত তিন দিনে ১৩টি আসনের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে সরে গেছেন।

নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে খবর নিচ্ছে না দল। নির্বাচন খরচসহ যেসব সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ছিল, তা দিচ্ছে না।

এই অবস্থায় দুই শতাধিক আসনে দলটির প্রার্থীরা ভোটের লড়াইয়ে নেই। গতকাল তাদের অভিযোগ, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর খোঁজ পাচ্ছেন না।

নির্বাচনকে ঘিরে সহিংস পরিস্থিতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘নির্বাচনী সহিংসতা বেড়েই চলেছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে সহিংসতার মাত্রা ততই বাড়ছে।

যেমন: বরিশাল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মোটরসাইকেল বহরে গুলিবর্ষণ, হামলা ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এতে ৩০ থেকে ৩৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবরে বলা হচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নৌকা প্রতীকের কার্যালয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মীরা ঢুকে এক কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয়েছে। এতে ঈগল প্রতীকের সমন্বয়কসহ উভয়পক্ষের ১৯ জন আহত হয়েছে।

পটুয়াখালীর গলাচিপায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেনের দুই কর্মীকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।



ফেইসবুক পেইজ