রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০২ পূর্বাহ্ন
                                           

হজের কোটা অপূরণ, প্যাকেজমূল্য সহনীয় করতে হবে

চলতি মৌসুমে নিবন্ধনের সময় চার দফা বাড়ানোর পরও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী নিবন্ধনে তেমন সাড়া মেলেনি। ফলে শুক্রবার পঞ্চমবারের মতো নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ১৬৫ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৫ হাজার ৬৯৭ জন; মোট ৭৯ হাজার ৮৬২ জন। অথচ চলতি বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন এদেশ থেকে। বোঝাই যাচ্ছে, গত বছরের মতো এবারও পূরণ হচ্ছে না হজের কোটা। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের হজের কোটা কমিয়ে দেওয়া হয় কিনা, সেটাই ভাবনার বিষয়।

ধারণা করা যায়, হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্যই হজযাত্রী নিবন্ধনে ভাটা পড়ার মূল কারণ। উল্লেখ্য, চলতি বছরের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। যদিও গতবারের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য ১ লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে, তবুও বর্তমান হজ প্যাকেজের মূল্যকে অনেক বেশি মনে করছেন হজে যেতে আগ্রহীরা, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতির এ সময়ে অনেকে হজে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেও যেতে পারছেন না। জানা যায়, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় হজের খরচ তুলনামূলক অনেক কম। প্রশ্ন উঠেছে, দেশে হজ প্যাকেজের মূল্য কেন এতটা বেড়ে গেল? এক্ষেত্রে বিমানভাড়া বৃদ্ধি একটি কারণ অবশ্যই। তবে মানুষসৃষ্ট কিছু কারণও হজ প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কাজ করছে। অভিযোগ আছে, হজকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নানা সিন্ডিকেটের কাছে হজযাত্রীরা একরকম জিম্মি। হজ নিয়ে বাণিজ্য করার জন্য গড়ে উঠেছে হজকেন্দ্রিক মার্কেটিং অফিসার, কমিশন বাণিজ্য, এজেন্সির সিন্ডিকেট এবং হজযাত্রী পরিবহণ সিন্ডিকেট। সৌদি আরবে বাসাভাড়াকেন্দ্রিক প্রতারণা, কখনো কখনো হজযাত্রীদের জমা দেওয়া টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়াসহ নানা অবৈধ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে। এ পরিপ্রেক্ষিতে হজসংশ্লিষ্টদের কার্যক্রমে সরকারের নজরদারি ও হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করি আমরা।



ফেইসবুক পেইজ