সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
                                           

মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের সাড়ে ৫ কোটি টাকার ৫ যন্ত্র বাক্সবন্দী

সরকারি চারটি মেডিকেল কলেজ ও একটি ডেন্টাল কলেজে চিকিৎসা শিক্ষার যন্ত্র বাক্সবন্দী অবস্থায় পড়ে আছে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য এসব আধুনিক যন্ত্র কেনা হয়েছিল। কবে এসব যন্ত্র চালু হবে, তা স্পষ্ট কেউ জানেন না। যন্ত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়ের প্রতিবেদন বলছে, নিয়ম মেনে এসব যন্ত্র কেনা হয়নি। এসব যন্ত্রের দাম ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট কলেজে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা ডেন্টাল কলেজ ও সাতটি সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনবল উন্নয়ন কার্যপরিকল্পনা থেকে আটটি ‘অ্যাডভান্স ডিজিটাল ডিসেকশান টেবিল’ কেনা হয়েছিল গত বছরের জুন মাসে। এর মধ্যে পাঁচটি যন্ত্রের বাক্স খোলা হয়নি, স্থাপন করা হয়নি, ব্যবহার শুরু হয়নি

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীর ব্যবচ্ছেদ বা কাটাছেঁড়া শেখার জন্য অ্যাডভান্স ডিজিটাল ডিসেকশান টেবিল ব্যবহার করা হয়। একে ‘ভার্চ্যুয়াল’ মানব শরীরও বলা হয়। শরীরের ভেতর কোথায় কী আছে, তা কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখা যায়। আগে মৃত মানুষের শরীর কেটে শিক্ষার্থীরা শিখতেন। এখন এই বিশেষ টেবিল ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা শেখেন। শারীরবিদ্যার ক্লাসে এটি বেশি ব্যবহৃত হয়।

স্বাস্থ্য খাতের টাকায় কেনা মূল্যবান যন্ত্রপাতি বাক্সবন্দী অবস্থায় থেকে নষ্ট হওয়ার অনেক নজির আছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে একটি লিনিয়ার এক্সিলারেটর যন্ত্র পড়ে আছে ১২ বছরের বেশি সময়। ক্যানসার চিকিৎসার এই যন্ত্র কেনা হয়েছিল ১০ কোটি টাকা দিয়ে। ওই যন্ত্র স্থাপনের জন্য যে বিশেষ স্থান ও আয়োজন দরকার, তা খুলনা মেডিকেলে ছিল না বা এখনো নেই। ওই যন্ত্র বাক্স থেকে বের করা হয়নি। যন্ত্রটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ রকম নজির আরও আছে।



ফেইসবুক পেইজ