রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
                                           

শেষ হলো স্বল্প ভোটের নির্বাচন ২০২৪

স্বল্প ভোটের নির্বাচন
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়ার তথ্য দিলেও এর আগে কমিশন বেলা তিনটা পর্যন্ত সারা দেশে ২৭.১৫% ভোট পড়ার তথ্য দিয়েছিলো।

বিভিন্ন স্থান থেকে বিবিসির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই ভোট পড়ার হার ছিল খুবই কম। কোনও কোনও কেন্দ্র ভোটার শূন্যও ছিলো দীর্ঘ সময় ধরে।

এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে ভোটারদের আসতে দেখা গেছে। আবার বেশির ভাগ ভোটকেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের এজেন্ট ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট দেখা যায়নি।

বেলা বাড়ার সাথে সাথে কোথাও কোথায় ভোটার কিছুটা দেখা গেলেও রাজধানীর ঢাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটার দেখা গেছে খুবই কম।

সাতই জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ এ ভোট দিয়েছেন কয়েক কোটি বাংলাদেশি নাগরিক। সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়েছে।

স্বল্প ভোটার উপস্থিতি এবং বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা-সহ নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে সারাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনের শেষ দিকে এসে জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের অনেক প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

নির্বাচন কমিশন অবশ্য বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে, তবে অনিয়মের অভিযোগে নয়টি আসনের ২১ কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।

বিরোধী দল বিএনপি দাবি করেছে যে ভোটাররা তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভোট বর্জন করেছে।

অন্যদিক আওয়ামী লীগ বলেছে ভোট বর্জনের আহবান যারা দিয়েছে তাদেরই ভোটাররা বর্জন করেছেন। এছাড়া ভোটারদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক ছিল বলে আখ্যায়িত করেছে দলটি।

তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবীবুল আউয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে এবং তার মতে সহিংসতার যে শঙ্কা ছিলো ”শেষ পর্যন্ত তেমনটি হয়নি”।

“নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। ভোটাররা স্বত:স্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে এসে স্বাধীনভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে কমিশন চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি,” বলছিলেন তিনি।

যদিও সকালে নিজের ভোট দিয়ে নির্বাচন ভবনে ফিরে এসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন যে তিনি ভোটকেন্দ্রে নৌকার পোলিং এজেন্ট ছাড়া অন্য কারও এজেন্ট দেখতে পাননি।

প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে তিনশ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে আজ (রবিবার) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি করে এ নির্বাচন বর্জন করে দেশবাসীকে ভোটে অংশ না নেয়ার আহবান জানিয়েছিল।

অন্যদিকে পনেরো বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ ও তাদের রাজনৈতিক মিত্ররাই এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।



ফেইসবুক পেইজ