রাজধানী সদরঘাট থেকে কোনো পথেই (রুট) আজ বাস চলছে না। এতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে চাওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। জরুরি কাজে বের হওয়া অনেকেই বাড়তি ভাড়ায় রিকশা ও বাইকে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে এলাকার প্রধান সড়কের পাশে অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
ফার্মগেট এলাকায় বোনের বাড়িতে জরুরি কিছু কাগজপত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন তাজুল ইসলাম। কিন্তু সদরঘাট বাসস্ট্যান্ড এসে দেখেন, কোনো গাড়ি নেই। পরে রিকশা খুঁজতে থাকেন। কিন্তু কোনো রিকশাচালকই ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে রাজি নন। পরে সাড়ে ৩০০ টাকায় একটি মোটরসাইকেল ভাড়া করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এখান থেকে বাসে ফার্মগেটে যেতে লাগে ২০ টাকা। আর অন্য সময় মোটরসাইকেলে ভাড়া পড়ে ১৫০-১৮০ টাকা। অথচ আজ প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হলো।
ব্যক্তিগত কাজে সদরঘাট থেকে গুলিস্তানে আসার পথে একই ভোগান্তিতে পড়েন মিজানুর রহমান। বাস না পেয়ে রিকশা খোঁজেন প্রথমে। পরে ঘোড়ার গাড়ি টমটমে করে গুলিস্তানে রওনা দেন তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, এর আগে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির সমাবেশের দিন এভাবে পুরো যান চলাচল বন্ধ হতে দেখেননি তিনি।
সাভার পরিবহন লাইনম্যান মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সারা দিন বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে কী কারণে তাঁদের এমন সিদ্ধান্ত, তা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সদরঘাটের লক্ষ্মীবাজার এলাকায় অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য দিন সময় লক্ষ্মীবাজারের সুভাষ বোস অ্যাভিনিউর ফুটপাতে অনেক অস্থায়ী দোকান বসে। এতে সাধারণ পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তবে আজ সড়ক ফাঁকা। একই অবস্থা দেখা যায় সদরঘাট থেকে গুলিস্তান রুটের নর্থ সাউথ সড়কেও।